World

সোনা ভেবে কুড়িয়ে আনা পাথরটা আসলে বিরল উল্কা

ওই এলাকায় যেহেতু সোনা পাওয়া যেত তাই তিনি ভেবেছিলেন সেখানে পড়ে থাকা পাথরের মধ্যে সোনা থাকতে পারে। পরে জানলেন কুড়িয়ে আনা পাথরটি বিরল একটি উল্কা।

Published by
News Desk

ওই অঞ্চল জুড়ে এক সময় প্রচুর সোনা খনন হয়েছে। সোনায় মোড়া নাকি গোটা এলাকা। সেখানে ঘুরতে গিয়ে তাই একটি এমন পাথরের খণ্ড খোঁজার চেষ্টা তিনি চালাচ্ছিলেন যার মধ্যে সোনা থাকতে পারে। তেমন একটি লালচে পাথরের সন্ধানও পান তিনি।

ওজন প্রায় ১৭ কেজির মত। সেটি আটকে ছিল মাটি মাখামাখি অবস্থায়। সেটি তিনি তুলে নিয়ে বাড়িতে ফেরেন। তিনি প্রায় নিশ্চিত ছিলেন যে ওই পাথরের মধ্যে সোনার টুকরো নিশ্চয়ই রয়েছে। অতএব শুরু হয় পাথরটি ভাঙার চেষ্টা।

পাথরটি তিনি কুড়িয়েছিলেন ২০১৫ সালে। বিষয়টি কাউকে জানতে দেননি। কেবল নিজের মত করে বিভিন্ন সময়ে পাথরটি ভাঙার চেষ্টা চালান। যাতে তার মধ্যেটা তিনি দেখতে পান।

এজন্য কখনও হাতুড়ি, কখনও ড্রিল মেশিন, কখনও করাত ব্যবহার করেন। কিন্তু তাতে পাথর ভাঙা সম্ভব হয়নি। তাই পাথর ভাঙতে এরপর তিনি সেটিকে অ্যাসিডে চুবিয়ে দেন। কিন্তু তাতেও পাথর যে কে সেই থেকে যায়।

এক সময় প্রায় হাল ছেড়ে দিয়ে তিনি পাথরটিকে নিয়ে হাজির হন মিউজিয়ামে। সেখানে বিশেষজ্ঞদের কাছে জানতে চান এ পাথরটি কি দিয়ে তৈরি যে তা ভাঙাই সম্ভব হচ্ছেনা!

অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের কাছে গোল্ডফিল্ডস এলাকা থেকে আনা পাথরের খণ্ডটি মেলবোর্ন মিউজিয়ামের বিশেষজ্ঞেরা হাতে পাওয়ার পর তাঁরা সেটিকে নানাভাবে পরীক্ষা করা শুরু করেন। পরীক্ষার পর তাঁরা যা জানান তাতে ডেভিড নামে ওই ব্যক্তির মাথা ঘুরে যায়!

ওই পাথর আদপে এ পৃথিবীর অংশই নয়। সেটি আসলে একটি উল্কাপিণ্ড। যা মহাকাশ থেকে উড়ে এসে পড়েছে। সেটি তৈরি হয়েছিল বিশেষ ধাতু দিয়ে। যা সৌরজগত তৈরিরও আগে জন্ম নিয়েছিল।

সেটিই এসে আছড়ে পড়েছিল মহাকাশ থেকে। সেই খণ্ডই ডেভিড কুড়িয়ে আনেন। যার মূল্য এভাবে হিসাব করা যায়না। এতটাই বিরল ও অমূল্য সম্পদ সেটি।

Share
Published by
News Desk
Tags: Australia

Recent Posts