গ্রেট হোয়াইট শার্ক, ছবি - সৌজন্যে - উইকিমিডিয়া কমনস
সেই ১৯৬৩ সালে শেষবার এই সমুদ্রতটের কাছে হাঙর দেখা গিয়েছিল। তারপর কেটে গেছে ৬০ বছর। এরমধ্যে এখানে হাঙরের দেখা মেলেনি। এমনকি স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেলে দাবি করা হয় এই সমুদ্র সমুদ্র স্নানের জন্য সবচেয়ে সুরক্ষিত।
আর সেই তথাকথিত সবচেয়ে সুরক্ষিত সমুদ্রেই দেখা দিল মূর্তিমান বিভীষিকা। সমুদ্রতটে বসে থাকা এবং জলে স্নানে ব্যস্ত মানুষজন লক্ষ্য করেন বালুকাভূমি থেকে ১০ থেকে ১৫ মিটার দূরেই জলে দেখা দিল এক হোয়াইট শার্ক বা সাদা হাঙর।
ঘটনাটি ঘটে গত বুধবার বিকেলে। যেখানে হাঙরটি দেখা যায়, সেখানেই সমুদ্রে সাঁতার কাটছিলেন এক ব্যক্তি। তিনি কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁর দেহে পড়ে হাঙরের ব্লেডের মত ধারালো দাঁতের কামড়।
জল রক্তে ভরে ওঠে। পরে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করা গেলও তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তাঁর দেহ ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছিল হাঙরটি।
ঘটনাটি ঘটে সিডনির লিটল বে সমুদ্রতটে। যেখানে গত ৬০ বছরে কখনও হাঙরের দেখা মেলেনি। এই ঘটনার পরই সিডনি ও তার আশপাশের এলাকায় ১২টির ওপর সমুদ্রতটে সাধারণ মানুষের ঢোকা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আপাতত জলের তলায় স্মার্ট ড্রামলাইন ফেলে হাঙরটির খোঁজ চলছে। এই ড্রামলাইন সমুদ্রের তলায় অনেকটা নোঙরের মত গিয়ে পড়ে। আর তার আওতায় হাঙর প্রবেশ করলেই জানান দেয়। আপাতত হাঙরটির হদিশ না পাওয়া পর্যন্ত স্থানীয় সব সমুদ্রতটই বন্ধ রেখেছে অস্ট্রেলিয়ার শহর সিডনির প্রশাসন।