চাষাবাদে কাজে আসছে আগ্নেয়গিরি, চাষের খরচ অনেক কমিয়ে বাড়াচ্ছে ফলন
আগ্নেয়গিরি জেগে ওঠা মানেই তো বিপর্যয়। তারও যে ভাল দিক থাকতে পারে এবার সেটা দেখল পৃথিবী। খরচ কমিয়ে ফলন বাড়াচ্ছে এতদিন ধরে বেরিয়ে আসা লাভা।

আগ্নেয়গিরি যতক্ষণ ঘুমিয়ে থাকে ততক্ষণ সুন্দর পাহাড়। কিন্তু জেগে উঠলে তা ভয়ংকর দৈত্যের রূপ ধারণ করে। ছিটকে বার হতে থাকে পাথর, ছাই। গলগল করে বার হতে থাকে গলিত লাভার স্রোত। যা দূর দূর পর্যন্ত জমির উর্বরতা সম্পূর্ণ নষ্ট করে দেয়।
কিন্তু সেই লাভা ঠান্ডা হওয়ার পর তা যে চাষাবাদে উপকারেও আসতে পারে তা হয়তো কেউ ভাবেননি। এবার অস্ট্রেলিয়ার একদল গবেষক পরীক্ষা করে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন যে লাভা স্রোত ঠান্ডা হওয়ার পর যে ব্যাসল্ট শিলা তৈরি হয় তা চাষাবাদে দারুণ কার্যকরি। আবার ব্যাসল্ট শিলা যেহেতু পৃথিবী জুড়ে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়, তাই তার দামও অনেক কম পড়ে।
দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দাবি, এই ব্যাসল্ট শিলাকে গুঁড়ো করে তা মাটিতে মিশিয়ে চাষ করলে ফলন ভাল হবে। অস্ট্রেলিয়ার মাটির আর এক সমস্যা হল তার অ্যাসিডিটি। এই ব্যাসল্ট গুঁড়ো দিয়ে চাষ করলে সেই অ্যাসিডিটি কমে। ফলে মাটি আরও উর্বর হয়।
ব্যাসল্ট চূর্ণতে থাকে ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং সিলিকন। এগুলি প্রতিটিই চাষাবাদে কাজে আসে। মাটির গুণ বৃদ্ধি করে। মাটি থেকে ফসল অনেক বেশি পুষ্টি অর্জন করতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার কৃষকরা প্রতিবছরই প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে চাষে ক্ষতির মুখে পড়েন। অনেক অর্থ খরচ করে চাষ করার পর কাঙ্ক্ষিত ফসল ঘরে তুলতে পারেননা। কিন্তু গবেষকদের দাবি চাষের জন্য খরচ এই ব্যাসল্ট শিলা ব্যবহার করলে কমবে।
কারণ এই শিলা পৃথিবীতে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। এখন এই ব্যাসল্ট শিলা দিয়ে তৈরি কালচে মাটিতে চাষের প্রবণতা কবে বাস্তবেই কৃষকদের আকর্ষিত করে সেটা সময় বলে দেবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা