হলুদ হয়ে গেল একাধিক শহর, কেন হল এমন অবস্থা
গাঢ় হলুদে ছেয়ে গেল একের পর এক শহর, গ্রাম। মানুষ এমন রূপ দেখে চিনতেই পারছেন না। পালাবারও পথ নেই। চরম পরিস্থিতির শিকার বহু মানুষ।

একটি সুন্দর শহর। পাশেই রয়েছে বন্দর। দেশের অন্যতম প্রধান শহরও বটে। সেই শহর আচমকা ঢেকে গেল হলুদ রংয়ে। এতটাই গাঢ় সে হলুদ যে সামনে একটু দূরেও কিছু দেখা যাচ্ছেনা। হলুদ রং মাটির রং। সেই মাটিই উড়ছে আকাশে বাতাসে।
সে মাটি আর মাটি নেই। হয়ে গেছে ধুলো। আর সেই ধুলো ঝড় ছেয়ে ফেলেছে চারধার। এতটাই ভয়ংকর সে রূপ যে বহু মানুষ শ্বাসকষ্টে ভুগতে শুরু করেন। ভাল করে নিঃশ্বাস নেওয়া দুষ্কর হচ্ছিল সেই হলুদ ধুলো ঝড়ে। যার জন্মই দিয়েছে খরা।
দেশের একটা অংশই খরার গ্রাসে। যা মাটির উপরিস্তরকে ধুলোয় পরিণত করেছিল। সেই ধুলো ঝড়ের সঙ্গে উড়ে আসে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহরে। ছেয়ে যায় বিখ্যাত এই শহর। কিছুই প্রায় দেখা যাচ্ছিল না।
বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন ১৯৫০ সালেও যে খরা হত তার চেয়ে এখন খরা আরও অনেক ভয়ংকর। অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ প্রান্তে খরা নতুন নয়। তবে ২০১৪ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে যে খরা হয়েছিল তা ১৯৫০ সালের সময়ের খরার চেয়ে অনেক গুণে ভয়ংকর। আর তা হয়েছে বিশ্ব উষ্ণায়নের হাত ধরে।

বদলে যেতে থাকা আবহাওয়ার কারণে চরম এক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে এই প্রাকৃতিক পরিস্থিতি। সিডনি শহর বলে এই ধুলো ঝড় বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছে। খবরে পরিণত হয়েছে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণভাগে অনেক শহর ও গ্রাম এই ভয়ংকর হলুদ ধুলো ঝড়ে কাবু হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা