অ্যান্টার্কটিকা, ছবি – সৌজন্যে – ফ্লিকার – @Daniel Enchev
তুষার রাজ্যে চারিদিকে শুধুই বরফ। সাদা বরফের পুরু চাদরে মাইলের পর মাইল ঢাকা। আর এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে জল জমেই বরফ তৈরি হয়। এই বরফও জল থেকেই জন্ম নিয়েছে। তাও শত শত বছর আগে।
কিন্তু সেখানে ঠান্ডা এতটাই যে সে বরফ কখনও গলতে পারেনা। যদিও এখন উষ্ণায়নের কারণে সেই মেরু অঞ্চলের বরফও গলতে শুরু করেছে।
এদিকে মেরু অঞ্চলের যে অতিকায় তুষার সাম্রাজ্য, সেখানে রয়েছে অগুন্তি হিমবাহ। বরফের পুরু চাদর। এসব বরফের কিন্তু সবটাই সাধারণ জল নয়।
তার অন্তত ৩ শতাংশ একটি প্রাণির প্রস্রাব। এটা অনুমেয় যে ওই বিশাল বরফ রাজ্যের ৩ শতাংশ বরফ কিন্তু নেহাত কম কিছু নয়।
বরফের যখন রাজ্য তখন বরফের রাজ্যের প্রাণিরাও সেখানে থাকবে। সেসব প্রাণির মধ্যে প্রথমেই মনে পড়ে পেঙ্গুইনদের কথা। গবেষণা বলছে মেরুপ্রদেশে যে অনন্ত বরফের পুরু চাদর রয়েছে, হিমবাহ রয়েছে তার ৩ শতাংশ বরফ সৃষ্টি হয়েছে পেঙ্গুইনদের প্রস্রাব থেকে।
অ্যান্টার্কটিকার বরফের এই সত্য কিন্তু যথেষ্ট চমকপ্রদ। তাহলে এটা বুঝতে হবে যে কত পেঙ্গুইনের প্রস্রাব কত দিন ধরে একত্র হয়ে ঠান্ডায় জমে বরফের রাজ্যের ৩ শতাংশ দখল করেছে!
তাই কখনও যদি অ্যান্টার্কটিকায় যাওয়ার সুযোগ কেউ পান তাহলে মাথায় রাখবেন যে বরফ দেখছেন তার পুরোটাই জল থেকে তৈরি নয়। আশপাশে ঘোরা পেঙ্গুইন নামক প্রাণির দান।