কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্মিত চিত্রে হাতি, প্রতীকী ছবি
অমিতাভ বচ্চন সেবার গিয়েছিলেন আফ্রিকায়। সেখানকার সাফারি তো বিখ্যাত। বন্যপ্রাণ দেখার জন্য পর্যটকেরা সাফারিকে ভরসা করেন। অমিতাভ বচ্চনও একটি গাড়িতে চড়েন। যেটি পর্যটকদের জঙ্গলের মধ্যে বিভিন্ন প্রাণিদের দেখাতে নিয়ে যায়।
জঙ্গলের মধ্যেই একটি জায়গায় পৌঁছে থেমে যায় তাঁদের গাড়িটি। সামনে অন্য এমন অনেক গাড়ির লাইন। জঙ্গলের মধ্যে যানজট! বিষয়টা অমিতাভ বচ্চনের একটু অবাক লাগে।
অমিতাভ জানতে চান বিষয়টি কি! জানতে পারেন যে যে পথে গাড়িগুলি এগোবে সেই রাস্তা ধরে একটি হাতি যাচ্ছে। যেটি ওই রাস্তা ছেড়ে সরে না যাওয়া পর্যন্ত গাড়ি যাবেনা। অগত্যা অপেক্ষা।
এই সময় আচমকা একটি গাড়ি হাতিটিকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার জন্য এগোয়। এতেই রেগে যায় হাতিটি। সে গাড়িটির দিকে ঘুরে তাকায়। তারপর তার শুঁড় দিয়ে ধাক্কা দেয় গাড়িটিকে।
এখানেই সে থেমে যায়নি। তার রাগ তখন এতটাই চড়েছে যে এবার হাতিটি সোজা তাকায় লাইন দিয়ে দাঁড়ানো গাড়িগুলোর দিকে। তারপর শুঁড় উঁচিয়ে ছুটতে শুরু করে সেগুলির দিকে।
প্রমাদ গোনে বাকি গাড়িগুলি। যারমধ্যে অমিতাভ বচ্চনের গাড়িটিও ছিল। প্রতিটি গাড়ি তখন রিভার্স গিয়ারে ছুটছে। হাতি যত তাদের দিকে এগিয়ে আসছে ততই পিছনে যাচ্ছে গাড়িগুলি।
অমিতাভ বচ্চন বুঝতে পারেন যে হাতিটি যদি নাগালে পেয়ে যায় কোনও গাড়িকে তাহলে রক্ষা নেই। এভাবে হাতিও ছুটছে, গাড়িও পিছোচ্ছে। এটা চলতে থাকে প্রায় ৫ মাইল পর্যন্ত।
তারপর একটি গাড়িতে থাকা এক গাইড কিছু একটা করেন যাতে হাতিটি ওখানে এসে থেমে যায়। তারপর সে চলে যায় তার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। অমিতাভ বচ্চন জানান সে যাত্রায় কার্যত রক্ষা পান তিনি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা