Kolkata

বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা মমতার ভোটব্যাঙ্ক, অভিযোগ অমিতের

Published by
News Desk

বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের এ রাজ্যে ও অসমে রাখার চেষ্টা চলছে। পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটব্যাঙ্ক। তাই তাঁদের রাখাতে মরিয়া মমতা। একই রাস্তায় হাঁটছে কংগ্রেসও। তারা দেশের সুরক্ষাকে ভোটব্যাঙ্কের জন্য ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে যত সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ হয় তার সঙ্গে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা জড়িত। বিজেপি এটা হতে দেবে না। তারা দেশের সুরক্ষাকে ভোট ব্যাঙ্কের আগে জায়গা দেয়। তাই অনুপ্রবেশকারীদের বিতাড়িত করা হবেই। এদিন মেয়ো রোডে বিজেপির যুব স্বাভিমান সমাবেশ থেকে এমনই দাবি করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। পাশাপাশি অমিত শাহ এদিন জানিয়ে দিয়েছেন নাগরিক পঞ্জি তৈরি করে অনুপ্রবেশকারীদেরই বিতাড়িত করা হবে। শরণার্থীদের নয়। শরণার্থীরা এখানেই থাকবেন। বিজেপি তাঁদের পাশে থাকবে। চ্যালেঞ্জের সুরেই অমিত শাহের পাল্টা প্রশ্ন শরণার্থীদের এখানে রাখায় মমতার সমর্থন পাওয়া যাবে তো? তিনি শরণার্থীদের রাখায় সমর্থন করবেন তো?

অমিত শাহ এদিন জানিয়ে দিয়েছেন যতই এনআরসি বা নাগরিক পঞ্জির কাজ আটকানোর চেষ্টা হোক না কেন, তা সম্পূর্ণ করবে বিজেপি সরকার। এনআরসি আটকানো যাবেনা। তাঁর দাবি কংগ্রেসকেও এনআরসির বিরুদ্ধে মুখ খোলার কারণ জানাতে হবে। অমিত শাহর দাবি যে নাগরিক পঞ্জি হচ্ছে তা ১৯৮৫ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর তত্ত্বাবধানে হওয়া অসম অ্যাকর্ড মেনেই হচ্ছে।

এদিন বিজেপির এই সমাবেশকে সামনে রেখে হাজার হাজার মানুষের ভিড় জমেছিল মেয়ো রোডে। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অমিত শাহর দাবি, পশ্চিমবঙ্গে কোনও কারখানা নেই। এখানে শুধু একটাই কারখানা চলছে। যা হল বোমা আর বন্দুক তৈরির কারখানা। সারা দেশে বোমা, বন্দুকের শব্দ বন্ধ হয়ে গেছে। কেবল পশ্চিমবঙ্গে তা বহাল রয়েছে। এদিন নারদ, সারদা, রোজভ্যালি নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপি সভাপতি। পাশাপাশি অমিত শাহর দাবি, তাঁদের এই সমাবেশ যাতে রাজ্যের সব কোণায় পৌঁছতে না পারে সেজন্য টিভি চ্যানেল ডাউন করে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। তাঁদের কর্মীদের সমাবেশে আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাঁদের যতই আটকানো হবে তাঁরা ততই শক্তি বৃদ্ধি করবেন বলে এদিন দাবি করেন অমিত শাহ।

(ছবি – সৌজন্যে – ফেসবুক)

Share
Published by
News Desk

Recent Posts