১ রাতে এই মন্দির নির্মাণ করেন পাণ্ডবরা, যার ভিতরে ছিল রহস্যময় গুহা
১ রাতের মধ্যে এই মন্দিরটি তৈরি করে ফেলেছিলেন পাণ্ডবরা। এটাই জনশ্রুতি। তারপর এই মন্দিরের ভিতরেই থাকা লুকোনো পথে পালিয়ে যান তাঁরা।
পাণ্ডবরা যখন অজ্ঞাতবাসে ছিলেন তখন তাঁরা এক জায়গায় বেশি সময় কাটাতেন না। কৌরবদের থেকে লুকিয়ে থাকার জন্য ঘনঘন স্থান পরিবর্তন করতেন। এভাবেই একটি জায়গায় পৌঁছে তাঁরা রাতারাতি একটি মন্দির তৈরি করেছিলেন। এটাই জনশ্রুতি।
মন্দিরটি ভগবান শিবের। মুম্বইয়ের কাছে অবস্থিত এই মন্দিরটির নাম অম্বরনাথ মন্দির। মন্দিরটি আজও রহস্যে মোড়া। শিবের মহিমা ছাড়া মন্দিরটি তার অসাধারণ স্থাপত্যকীর্তির জন্যও বিখ্যাত। গঠনগত দিক থেকে মন্দিরটি বাকি সব মন্দিরের থেকে আলাদা।
প্রাচীন এই মন্দিরের ভিতরে রয়েছে একটি রহস্যময় গুহা। আর এই গুহাকে ঘিরেই মন্দিরের সব কাহিনি আবর্তিত হয়। জনশ্রুতি রয়েছে গুহার রাস্তা ধরে পঞ্চবটী পৌঁছনো যায়। স্থানীয় মানুষের বিশ্বাস অজ্ঞাতবাসে থাকার সময় পাণ্ডবরা মাত্র ১ রাতের মধ্যে মন্দিরটি বানিয়েছিলেন।
মন্দিরের ভিতরের ভগবান শিবকেও পাণ্ডবরাই প্রতিষ্ঠা করেন। যেহেতু সে সময় তাঁরা অজ্ঞাতবাসে ছিলেন তাই কৌরবদের কাছে ধরা পড়ে যাওয়া এড়াতে পাণ্ডবরা রাতারাতি জায়গাটি ছেড়ে চলে যান। ফলে মন্দিরটি অসম্পূর্ণই থেকে যায়। আজও মন্দিরটিতে গেলে বোঝা যায় মন্দিরের কিছু কাজ অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে।
মনে করা হয় মন্দিরের ভিতরের ওই গুহাপথ দিয়েই পাণ্ডবরা রাতারাতি গা ঢাকা দিয়েছিলেন। পাণ্ডবদের তৈরি এই মন্দিরে আসা ভক্তরা বিশ্বাস করেন ভগবান শিব এখানে তাঁদের সব ইচ্ছা পূরণ করেন।
মন্দিরের গর্ভগৃহে পৌঁছনোর জন্য ৯টি সিঁড়ি ভাঙতে হয়। গর্ভগৃহের পাশেই একটি পুকুর রয়েছে। যার জল সর্বদা গরম থাকে। কোনও ঋতুতেই এই জল শুকিয়ে যায়না। নন্দী মহারাজের ২ মূর্তি প্রস্রবণটিকে পাহারাদারের মত আগলে রাখে। শিবরাত্রির সময় এখানে ৪ দিন ব্যাপী মেলা বসে। তখন ভক্তদের ঢল নামে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

