National

একটি যন্ত্র ঠিকমত কাজ করলেই এড়ানো যেত অমরনাথের এই পরিস্থিতি, বাঁচতেন পুণ্যার্থীরা

একটি যন্ত্র যদি সঠিকভাবে তার কাজটা করত, তাহলে অনায়াসে এড়ানো যেত শুক্রবার বিকেলে অমরনাথ গুহার কাছের দুর্যোগ পরিস্থিতি। বেঁচে যেতেন পুণ্যার্থীরাও।

Published by
News Desk

অমরনাথ গুহার কাছে আগত পুণ্যার্থীরা শুক্রবার বিকেলে যে অতিপ্রবল বর্ষণের মুখে পড়েন তা তাঁদের কাছে একটি দুঃস্বপ্ন সম। ১৬ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৪০ জন, ১৫ হাজার পুণ্যার্থীকে উদ্ধার, এত ক্ষয়ক্ষতি, সব পরিস্থিতি এড়ানো যেত।

কেবল পাহাড়ের অনেক উঁচুতে বসানো একটি যন্ত্রকে ঠিকঠাক কাজ করতে হত। আর সেটাই যন্ত্রটি করেনি। করেনি কারণ তার দেখভাল ঠিকমত হয়নি।

আবহাওয়া দফতর শুক্রবার বিকেলের জন্য পূর্বাভাস দিয়েছিল হাল্কা বৃষ্টির। কিন্তু সাড়ে ৫টা থেকে সাড়ে ৬টায় তুমুল বৃষ্টি সব তছনছ করে দেয়। যার আন্দাজ আবহাওয়া দফতরের কাছেও ছিলনা।

ছিলনা কারণ তাঁরা সার্বিক রিপোর্টের ভিত্তিতে কাজ করেছিল। বানিহালে পাহাড়ের অনেক উঁচুতে বসানো রয়েছে ডপলার রাডার। সঙ্গে বসানো আছে একটি এক্স ব্যান্ড রাডারও। এরা পীরপাঞ্জাল রেঞ্জের ১০০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে আবহাওয়ার নিখুঁত পূর্বাভাস দিতে পারে।

পাহাড়ের অনেক উঁচুতে বসানো হওয়ায় পূর্বাভাসও হয় নিখুঁত। হাওয়ার গতিবিধি সহজে বুঝতে পারে যন্ত্র। সেই যন্ত্র ওই উচ্চতায় উঠে সব সময় দেখভাল সম্ভব হয়না। সেটাই কাল হয় এদিন।

যন্ত্র কার্যকরী না থাকায় সঠিক পূর্বাভাস থেকে বঞ্চিত হন আবহবিদরা। ফলে তাঁরা অনন্তনাগ জেলার জন্য একটি সার্বিক পূর্বাভাস দেন। যা অমরনাথ গুহার কাছের ওই ভয়ংকর বৃষ্টির আন্দাজ দিতে পারেনি। ফলে অমরনাথ গুহার তুষার লিঙ্গ দর্শনে আসা পুণ্যার্থীরা এক আতঙ্কের পরিস্থিতির মুখে পড়লেন। হারালেন প্রাণও। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk