National

পাখির চোখ ২০১৯, কংগ্রেসের প্লেনারি সেশনে রাহুলের নিশানায় মোদী সরকার

Published by
News Desk

কংগ্রেসের ৮৪ তম প্লেনারি সেশন। দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ৩ দিন ব্যাপী এই অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন কংগ্রেসে তাবড় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে রাজ্য নেতৃত্ব। আছেন কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিরা। মোট ১২ হাজার কংগ্রেস নেতা এই অধিবেশনে অংশ নিয়েছেন। কংগ্রেসের এই প্লেনারি সেশনের গুরুত্ব রাহুল গান্ধীর দলের কাছে অপরিসীম। কারণ ২০১৯ সালেই দেশে লোকসভা নির্বাচন। শক্ত ভিতের ওপর বসে থাকা নরেন্দ্র মোদী সরকারকে সরাতে রণকৌশল যথেষ্ট ভেবে চিন্তেই নিতে হবে কংগ্রেসকে। কাজ শুরু করতে হবে এখন থেকেই। কয়েকদিন আগে দেশের ১৭টি বিরোধী দলকে নৈশভোজে ডেকে বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে এক ছাদের তলায় আনার চেষ্টা শুরু করেছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। এবার প্লেনারি সেশনে দলীয় নেতৃত্বকে আগামী দিনের রণকৌশল বোঝানোর পাশাপাশি ঘর গোছানো ও দলকে সংঘবদ্ধ করার কাজ শুরু করে দিল কংগ্রেস হাইকমান্ড।

এদিন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী দলীয় নেতৃত্বের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আপাদমস্তক নিশানা করেছেন মোদী সরকারকে। রাহুলের দাবি, মোদী সরকারকে নিয়ে দেশবাসী বিরক্ত, ক্লান্ত। দেশে বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেশকে বিভক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। কংগ্রেস এই অবস্থা বদলাতে পারে। কংগ্রেসের কাজ সংঘবদ্ধ করা। সংযোগ সাধন। আর সে কাজ করতে কংগ্রেসকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বিজেপি দেশে হিংসা ও আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে বলেও অভিযোগ করেন রাহুল গান্ধী। রাহুল গান্ধী এদিন নিজেই বলেন, তিনি অধিবেশনের শুরুর ভাষণে তেমন কিছু বলবেন না। বরং প্লেনারি সেশন জুড়ে সকলের সঙ্গে যে বার্তালাপ হবে তা শুনে তিনি সমাপ্তি ভাষণে নিজের বক্তব্য পেশ করবেন। তাই সেই ভাষণ দীর্ঘ হবে। রাহুল গান্ধী সেদিন কী বলেন সেদিকে চেয়ে তাঁর দলের নেতৃত্ব তো বটেই, এমনকি অন্য দলের নেতৃত্বও।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, কংগ্রেসের সামনে নিজেদের ঘর গোছানো এবং দলকে সংঘবদ্ধ রাখা বড় চ্যালেঞ্জ। সেইসঙ্গে তাদের বিরোধীদলগুলিকেও সঙ্গে রাখতে হবে। হাতে আর বিশেষ সময় নেই। তাই প্লেনারি সেশনে সুচিন্তিত রণকৌশল স্থির করে ২০১৯-কে পাখির চোখ করে এগোতে হবে কংগ্রেসকে।

Share
Published by
News Desk