বজ্রপাত, প্রতীকী ছবি
এখন ঘূর্ণাবর্তের চেহারায় থাকলেও আগামী ১১ জুন উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে। যা তারপরের ২৪ ঘণ্টায় আরও শক্তিশালী হবে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস ওই বৃষ্টির হাত ধরেই দক্ষিণবঙ্গে ১১ জুন প্রবেশ করবে বর্ষা। দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু আগেই এ রাজ্যে প্রবেশ করেছে। উত্তরবঙ্গের হিমালয় সংলগ্ন এলাকা দিয়ে প্রবেশ করেছে বর্ষা। এবার দক্ষিণবঙ্গেও বর্ষা ঢুকতে চলেছে।
বঙ্গোপসাগরে শক্তিশালী নিম্নচাপের জেরে সমুদ্র উত্তাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে দোসর হতে হতে চলেছে ভরা কোটাল। তাই ১১ জুন থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতেও নিষেধ করা হয়েছে।
এদিকে দক্ষিণবঙ্গে প্রবল বৃষ্টির যে পূর্বাভাস রয়েছে তাতে বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে বজ্রপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ইতিমধ্যেই বজ্রপাতে একদিনে ২৭ জন ও তার পর দিন ২ জন প্রাণ হারিয়েছেন এ রাজ্যে। এমন মর্মান্তিক মৃত্যু এড়াতে কিছু পরামর্শ দিয়েছে হাওয়া অফিস।
হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, প্রবল বৃষ্টি ও বজ্রপাতের সময় কেউ যেন বাড়ি থেকে না বার হন। যে কৃষকরা মাঠে কাজ করেন তাঁরা যেন সে সময় মাঠে না থেকে ফিরে আসেন।
বৃষ্টি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কোনও বড় গাছের তলায় দাঁড়াতে নিষেধ করেছে হাওয়া অফিস। এতে বাজ পড়ে মৃত্যুর আশঙ্কা থেকে যায়। একদিনে ২৭ জনের প্রাণ কাড়ার পর বাজ পড়লে এখন বাড়ির বাইরে থাকা বহু মানুষের বুক কাঁপছে।