ফাইল : আলিপুর আবহাওয়া দফতর, নিজস্ব চিত্র
ডিসেম্বরে শীত বস্তুটা ঠিক কেমন হয় তা বুঝে উঠতে পারেননি দক্ষিণবঙ্গের মানুষজন। কিন্তু নতুন বছরে পা দেওয়ার পর বদলে যায় আবহাওয়া। কনকনে শীতের আবহে ঢেকে যায় গোটা রাজ্য। লাফিয়ে নামে পারদ।
ঠক ঠক করে কাঁপতে থাকা রাজ্যবাসী কিন্তু বেজায় খুশি ছিলেন। এমন ঠান্ডাটাই তো চাইছিলেন তাঁরা। এমনিতেই এই রাজ্যে শীতটা ক্ষণিকের অতিথি। তাও যদি না পাওয়া যায় তাহলে মন খারাপ তো হয়ই।
এদিকে সেই দারুণ ঠান্ডা আবার এই সপ্তাহ থেকে কেমন যেন উধাও হয়ে গেছে। ক্রমশ পারদ চড়ছে। সেই কনকনে ভাবটাও আর নেই। দুপুরে গায়ে সোয়েটার রাখাও যাচ্ছেনা। শেষ পৌষে শীতের দাপট থাকে। থাকে কনকনে হাওয়া। কিন্তু সেসব কিছুই নেই।
আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে উত্তুরে হাওয়ার দাপট কমেছে। যা পারদটাকে চড়িয়ে দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিও থাকবে না বলেই পূর্বাভাস।
সামনে আরও পারদ চড়বে বলেই মনে করছেন আবহবিদেরা। ফলে মকরসংক্রান্তিতে ঠান্ডা উপভোগের সুযোগ থাকছে না বলেই মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে নিতে পারেন রাজ্যবাসী।
এ রাজ্যে ঠান্ডা পৌষ মাসেই যেটুকু উপভোগ করা যায়। মাঘে কয়েকদিন ঠান্ডা পড়লেও তা স্থায়ী হয়না। আর জানুয়ারির শেষের দিক মানে তো বেশ গরম অনুভূত হতে শুরু করে। বাতাস ভরে ওঠে বসন্তের গন্ধে। তবে কি ঠান্ডা এ বছরের মত এখানেই শেষ? এমন পূর্বাভাস এখনও আবহাওয়া দফতর দেয়নি।