ফাইল : সরকারি দফতরে হামলার পর কাবুলে চলছে সেনার প্রহরা, ছবি - আইএএনএস
প্রথমে শোনা যায় বিস্ফোরণের শব্দ। বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে চারধার। তারপর গুলির শব্দ। বিস্ফোরণটি হয় কাবুল শহরের একেবারে প্রাণকেন্দ্রে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ ও সেরেনা হোটেলের সামনে। স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণ যেখানে হয় সেখানে আফগানিস্তানের জনসংযোগ ও তথ্যমন্ত্রকের দফতরও রয়েছে। জঙ্গিদের আসল লক্ষ্য ছিল হয়ত সেই মন্ত্রক। তাই বিস্ফোরণে যখন আতঙ্ক ছড়ায়, তখনই সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বেশ কয়েকজন জঙ্গি ঢুকে পড়ে মন্ত্রকে।
মন্ত্রকের মধ্যে শুরু হয় গুলির লড়াই। জঙ্গিদের সঙ্গে সুরক্ষাবাহিনীর গুলির লড়াই শুরু হয়। তবে মন্ত্রকের মধ্যে কোথায় কীভাবে গুলির লড়াই চলেছে তা পরিস্কার নয়। কেউ বলছেন দুপুরেও মন্ত্রকের একতলা থেকে গুলির শব্দ ভেসে আসছিল। কেউ বলছেন, ওই এলাকা থেকেই গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল।
বিস্ফোরণের পরই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে আফগান সুরক্ষাবাহিনী। প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ চারদিক থেকে সিল করে দেওয়া হয়। সুরক্ষার কড়া বেষ্টনী তৈরি করে ফেলা হয়। ফলে বিস্ফোরণে হতাহতের অবস্থা কী তারও খবর সাংবাদিকরা জোগাড় করতে পারেননি। ঘেরাটোপের ভিতরে ঠিক কী হচ্ছে তাই পরিস্কার নয় কারও কাছে। তবে জঙ্গিদের সঙ্গে দুপুরেও যে লড়াই চলছিল তা পরিস্কার। এই ঘটনার দায় কোনও জঙ্গি সংগঠন স্বীকার করেনি। তবে আফগান পুলিশের প্রাথমিক অনুমান এর পিছনে তালিবানরা জড়িত। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা