প্রতীকী ছবি
তরুণ চিকিৎসক তিনি। সবে তাঁর পসার জমে উঠছিল। একটা ছোট ক্লিনিকও করেছিলেন নিজের। সেখানে নিয়মিত রোগীও দেখতেন। ৬ মাস হল বিয়েও করেছেন।
সাজিয়ে নিয়েছিলেন জীবনটা। তরুণ বয়সে সফল জীবনে বেশ কাটছিল দিনগুলো। চিন্তা যদি কিছু ছিল তো দেশের পরিস্থিতি। তালিবানি শাসনে দেশের আর্থিক ও সামাজিক অবস্থা ক্রমশ তলানিতে গিয়ে ঠেকছিল।
গত বৃহস্পতিবার তিনি গাড়ি নিয়ে নিজের ক্লিনিকের দিকেই যাচ্ছিলেন। সেই সময় একটি পুলিশ চেকপোস্টের কাছে তাঁর গাড়ি থামাতে বলে সুরক্ষার কাজে নিয়োজিত বন্দুকধারীরা।
চিকিৎসকের পরিবারের অভিযোগ, গাড়ি দাঁড় করাতে বললেও তিনি তা না দেখেই গাড়ি নিয়ে এগিয়ে যান। দোষ ছিল এটাই। তাঁর সেই দোষের সাজা কিনা হল মৃত্যু!
চিকিৎসক আমরুদ্দিন নুরির পরিবারের দাবি, গাড়ি না দাঁড় করানোয় তালিবান সুরক্ষাবাহিনী নুরিকে সেখানেই হত্যা করে। গাড়ি না দাঁড় করানোর সাজা যে মৃত্যু হতে পারে তা মেনে নিতে পারছেনা পরিবার।
এই ঘটনায় আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলে নেওয়া তালিবান সরকারও কিছুটা ব্যাকফুটে। এখন তারা সব অভিযোগ কীভাবে ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেলা যায় সেই চেষ্টা চালাচ্ছে।
প্রশাসনের দাবি, এমন ঘটনা যে ঘটেছে তাই তাদের জানা নেই। এমন কোনও রেকর্ড তাদের কাছে নেই। ঘটনাটি ঘটেছে আফগানিস্তানের হেরাট শহরে।
প্রসঙ্গত এমন হত্যাকাণ্ড প্রায়শই ঘটছে আফগানিস্তানে। এসব ঘটনার অনেকগুলোই তুলে ধরতে পারেনা সেখানকার সংবাদমাধ্যম। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা