World

ধ্বংস করেছিল যারা তাদের মুখেই এখন বামিয়ানের বুদ্ধকে বাঁচানোর বার্তা

এক সময় তাদের হাতেই শেষ হয়ে গিয়েছিল বামিয়ানের বুদ্ধমূর্তি। গোটা বিশ্ব হায় হায় করে উঠেছিল। তখন কানেও নেয়নি সেই প্রতিবাদ। এখন তারাই বাঁচানোর কথা বলছে।

Published by
News Desk

বিশ্বের অন্যতম এক দ্রষ্টব্য ছিল বামিয়ানের বুদ্ধমূর্তি। কিন্তু ১০ বছর আগে ২০১১ সালে সেই মূর্তি ভেঙে তছনছ করেছিল তালিবান। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।

এমন এক অমূল্য সম্পদকে কেউ এভাবে ধ্বংস করে দেয়! বামিয়ানের বুদ্ধমূর্তি ধ্বংস করা মানে বিশ্বের বুক থেকে এক অনন্য কীর্তিকে মুছে ফেলা। যা অতি যত্নে সংরক্ষণ করা প্রয়োজন, তা কিনা ভেঙে তছনছ করছে তালিবান।

বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদে কিন্তু সেদিন কান দেয়নি তারা। নির্মমভাবে ভাঙা হয়েছিল সেই ইতিহাস। আজ ১০ বছর পার করে এখন সেই তালিবানই বলছে তারা বামিয়ানের বুদ্ধমূর্তি বাঁচাতে চায়। সংরক্ষণ করতে চায়।

আফগানিস্তানের সালাং পাস হয়ে পৌঁছতে হয় পাহাড়ি বামিয়ানে। এই বামিয়ানেই রয়েছে বৌদ্ধধর্মের নানা নিদর্শন। বলা হয় এই আফগানিস্তান থেকেই চিনে পৌঁছেছিল বৌদ্ধধর্ম।

বামিয়ানে এক বিশাল বুদ্ধের মূর্তি সারা বিশ্বকে চমকিত করত। কেবল বামিয়ানের সেই মূর্তি দেখতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসতেন এখানে।

২০১১ সালে তা প্রায় ধ্বংস করে দেয় তালিবান। এখন আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের পর তারাই বলছে তারা এখন বামিয়ানের বুদ্ধমূর্তির ধ্বংসাবশেষটাই সংরক্ষণ করতে চায়। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটকরা যাতে এসে সেটুকু দেখতে পারেন তার বন্দোবস্ত করতে চায় তারা।

হঠাৎ এমন বোধোদয় কেন? আর সংরক্ষণ যখন করছে তখন ২০১১ সালে ভেঙেই বা দিয়েছিলেন কেন? উত্তরে তালিবানের তরফে জানানো হয়েছে সেদিন যা হয়েছিল তা ধর্মীয় ভাবাবেগ থেকে হয়েছিল। যাকে আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন ইসলামিক এমিরেটস সমর্থন করেনা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk
Tags: Afghanistan

Recent Posts