লক্ষ্যে পোঁছানো আদিত্য-এল১, ছবি – সৌজন্যে – এক্স – @ISROSight
মহাকাশ বিজ্ঞানে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো তাদের ক্ষমতা ও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে চাঁদের মাটি ছুঁয়ে। সেই সাফল্য ভারতীয় মহাকাশ চর্চাকে বিশ্ব মানচিত্রে সম্মানের আসনে বসিয়ে দেয়। নতুন বছরের শুরুতে ফের আর এক সোনায় মোড়া ইতিহাস রচনা করে ভারত আরও একবার মহাকাশ বিজ্ঞানে নিজেদের দাপটের পরিচয় দিল।
গত বছর ২ সেপ্টেম্বর সূর্যের দিকে পাড়ি দেয় ভারতীয় মহাকাশযান আদিত্য-এল১। এ সফর বড় সহজ ছিলনা। পৃথিবী থেকে ১.৫ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে আদিত্যর সূর্যের কাছে পৌঁছে এমন এক জায়গায় প্রতিস্থাপিত হওয়ার কথা ছিল যেখান থেকে সে সারাক্ষণ সূর্যকে পর্যবেক্ষণ করতে পারবে।
পৃথিবী ও সূর্যের মত বিশালকায় বস্তুর মাধ্যাকর্ষীয় শক্তি এই জায়গায় এসে অনেকটাই স্তিমিত হয়ে পড়ে। এই স্থানটিকে বলা হয় ল্যাগরেঞ্জ ১ বিন্দু। ফরাসি গণিতজ্ঞ জোসেফ লুই ল্যাগরেঞ্জ এই বিন্দুটি আবিষ্কার করেন।
এটি এমন একটা জায়গা যেখান থেকে সূর্যকে খুব কাছ থেকে সরাসরি সরলরেখায় পর্যবেক্ষণে রাখা যায় ৩৬৫ দিন। এই স্থান থেকে সূর্যকে দেখা মানে তার সামনে দিয়ে কখনও কোনও গ্রহ বা উপগ্রহ যাতায়াত করবেনা। সেই এল১ পয়েন্টের লক্ষ্যে ছুটে অবশেষে শনিবার ৬ জানুয়ারি অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে গেল ভারতের আদিত্য।
এখানে পৌঁছনোর পর সূর্যকে সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণে রাখতে পারবে আদিত্য। সূর্যের আবহাওয়ার খবর দেবে নিরন্তর। সূর্যে যে সৌরঝড়গুলি হয় তারও খবর দেবে ইসরোর এই যান। কৃত্রিম উপগ্রহের জন্য ক্ষতিকারক কিছু সূর্যের তরফ থেকে এলে সে বিষয়ে দ্রুত খবর দিয়ে সতর্ক করবে আদিত্য।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বিরল সাফল্যের জন্য ইসরোর বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। আদিত্যর এই লক্ষ্যে পৌঁছে যাওয়া এক বড় পদক্ষেপ বলেও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা