Sports

পাকিস্তানকে একই প্রতিযোগিতায় ৩ বার দুরমুশ করে এশিয়া কাপ জিতল ভারত

পাকিস্তানকে একটাই প্রতিযোগিতায় ৩ বার হারাল ভারত। ফাইনালে পাকিস্তানকে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে হারিয়ে এশিয়া কাপ জিতল ভারত। একই প্রতিযোগিতায় ৩ বার হারিয়ে পাকিস্তানকে জবাব দিল ভারত।

এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্যায়ে পাকিস্তানকে দাঁড়াতে না দিয়েই হারায় ভারত। তারপর ফের সেরা ৪ দলের লড়াইয়ে পাকিস্তানকে দাঁড়াতে না দিয়েই হারিয়ে দেন সূর্যকুমাররা। সেই ম্যাচে হেরেও নক্কারজনক অঙ্গভঙ্গি করতে দেখা যায় পাকিস্তানের হারিস রউফকে।

হেরেও যে এমন কাণ্ড কেউ করতে পারেন তা এই পাক খেলোয়াড় দেখিয়ে দেন। পর পর ২টি রবিবারে জয়ের পর তৃতীয় রবিবারে ফাইনালেও ভারতের মুখেই পড়ল পাকিস্তান।

২ বার পহেলগামের ঘটনার জবাব ভারতীয় ক্রিকেট দল দিয়েছে। এদিন ফাইনালে ফের একবার পাকিস্তানকে দুরমুশ করে ভারত তার শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিল।

এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান বেশ সাবধানী ইনিংস শুরু করে। রানও উঠতে থাকে।

পাকিস্তানের একসময় ১২.৫ ওভারে ১১৩ রানে ২ উইকেট ছিল। সেখান থেকে ১৯.১ ওভারেই পুরো দলটা আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরে। ভারতীয় বোলিংয়ের সামনে পাকিস্তানের ওপেনার ২ ব্যাটসম্যান বাদ দিয়ে কেউ দাঁড়াতেই পারেননি।

১৪৭ রান করলে জিতবে এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারতও কিন্তু প্রথমে বেশ নড়বড়ে অবস্থায় পৌঁছে যায়। প্রথম ৪ ওভারের মধ্যেই ভারত ৩টি উইকেট হারায়। স্কোরবোর্ডে তখন মাত্র ২০ রান।

প্যাভিলিয়নে ফিরে যান অভিষেক শর্মা, সূর্যকুমার যাদব এবং শুভমান গিল। ভারতের ৩ অন্যতম ভরসার দ্রুত ফেরা ভারতকে চাপের মুখে ফেলে দেয়। এই অবস্থা থেকে খেলার হাল ধরেন তিলক বর্মা ও সঞ্জু স্যামসন।

যদিও সঞ্জু ১২ রানের মাথায় একটি ক্যাচ তোলেন যা ধরতে পারেননি পাকিস্তানের ফিল্ডার। এরপর ২৪ রান করে সঞ্জু ফেরার পর তিলকের সঙ্গে জুটি বাঁধেন শিবম দুবে।

কিছুতেই রান আর বলের ফারাকটা কমাতে পারছিলেন না এই ২ খেলোয়াড়। কিন্তু মাথা ঠান্ডা রেখে খারাপ বলের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন ২ জনে। ১, ২ রান করে স্কোরবোর্ড চালু থাকে।

খেলার ৩ ওভার বাকি থাকতে শিবম দুবের একটি ছক্কা ও একটি চার খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেয়। কিন্তু শিবম আরও একটি ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন।

শেষ ওভারে ৬ বলে ১০ রান দরকার ছিল। সেখানে তিলক বর্মা প্রথম বলে ২ রান নেন। তারপরের বলেই খেলার সব চাপে জল ঢালেন। একটা ছক্কা হাঁকান তিনি। যা কেবল ছক্কা ছিলনা, ট্রফি জিতে নেওয়াও ছিল।

তার পরের বলে ১ রান নেন। প্রতিযোগিতার প্রথম বলটি খেলার সুযোগ পান রিঙ্কু সিং। ৩ বলে ১ রান দরকার ছিল। রিঙ্কু প্রথম বলের সামনে তাঁর প্রতিভা অক্ষুণ্ণ রেখে ৪ মেরে ২ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেন।

এদিন অবশ্য জয়ের সবচেয়ে বড় কৃতিত্বের অধিকারী হয়ে রইলেন তিলক বর্মা। যে পরিস্থিতি থেকে তিনি একটা দিকে দাঁড়িয়ে থেকে খেলা জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন তা তারিফ যোগ্য। ভারত জিতল এশিয়া কাপ। তাও পুরো প্রতিযোগিতায় ১টাও ম্যাচ না হেরে আর পাকিস্তানকে ৩ বার হারিয়ে।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *