National

মোদী ম্যাজিক অব্যাহত, দেশে ফের একবার বিজেপি সরকার

Published by
News Desk

বিজেপি এর আগেও দেশে সরকার গড়েছে। কিন্তু ৫ বছরের বেশি একটানা রাজত্ব করার সৌভাগ্য গেরুয়া শিবিরের হয়নি। এবার জয়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই রেকর্ডও গড়ে ফেলল বিজেপি। যাঁরা বলছিলেন মোদী ম্যাজিক ২০১৪-র পর ৫ বছরে অনেকটাই ম্রিয়মাণ, তাঁরা কতটা বড় ভুল ছিলেন তা এদিন ফের প্রমাণিত হল। বরং দেশের মানুষ ২০১৪-তে মোদী ঝড়ে যে ভোট দেননি, এবার সেই ভোট তাঁরা উজাড় করে দিয়েছেন মোদীর ঝুলিতে। জনাদেশ একবাক্যে মোদীর শাসনে সিলমোহর দিয়েছে। যেসব রাজ্যে বিজেপি আছে সেগুলি বাদই দেওয়া গেল। যেসব রাজ্যে বিজেপি হালেই হেরেছে, সেখানেও মোদী সাইক্লোন উড়িয়ে দিল সে রাজ্যে ক্ষমতাসীন দলকে। এমনকি পশ্চিমবঙ্গেও রীতিমত তৃণমূলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলা শুরু করে দিল বিজেপি।

জয়ের জন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ দিয়েছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। গুজরাটের গান্ধীনগর কেন্দ্র থেকে তিনি দাঁড়িয়েছিলেন। যে কেন্দ্র এতদিন বিজেপির লৌহপুরুষ হিসাবে খ্যাত লালকৃষ্ণ আডবাণীর কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত ছিল। সেখানে বিজেপির কিংবদন্তী নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী যে ব্যবধানে জিততে পারেননি, অমিত শাহ সেই ব্যবধান পেয়ে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। সাড়ে ৫ লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জিতে রেকর্ডও গড়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে যখন অমিত শাহ দিল্লিতে বিজেপি সদর দফতরে প্রবেশ করেন তখন সেখানে কর্মী, সমর্থকদের ভিড়ে ছয়লাপ। তাঁর গাড়ি ভিতরে প্রবেশই করতে পারছিল না। চলছিল পুষ্পবৃষ্টি। তারমধ্যেই অমিত শাহ গাড়ি থেকে বেরিয়ে হাত নেড়ে সকলকে অভিনন্দন জানান।

বিজেপি ঝড়ে কুপোকাত এবার অনেক বড় বড় নামও। খোদ আমেঠি থেকেই টানা পিছিয়ে আছেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেসের পকেট সিট হিসাবে পরিচিত আমেঠি থেকেই ২০০৪ সাল থেকে জিতে আসছেন রাহুল। সেখানে পরপর কয়েক রাউন্ড গণনাতেই পিছিয়ে আছেন তিনি বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানির থেকে। এছাড়া কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে পিছিয়ে আছেন। পিছিয়ে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, পিছিয়ে সুনীল জাখর, পিছিয়ে বিরাপ্পা মইলি। কংগ্রেস এবার প্রচারে যথেষ্ট জোর দিলেও মানুষে যে কেবলমাত্র মোদী সরকারকেই দিল্লিতে দেখতে চেয়েছে তা পরিস্কার হয়ে গেল এদিন।

Share
Published by
News Desk