সিংহ রাশির ২০২২ বছরটা কেমন কাটবে ও কি করলে ভালো থাকবেন – শিবশংকর ভারতী
লেখক জ্যোতির্বিদ শিবশংকর ভারতীর কলমে সিংহ রাশির ২০২২ সালের রাশিফল - কেমন কাটবে ২০২২ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত তার আগাম ধারনা।

প্রথমেই বলি সারা ভারতবর্ষ ব্যাপী করোনা মহামারি এখন থেকে আরও দেড় বছর চলবে। এই আবহাওয়া কখনও কম কখনও একটু বেশি হবে। তারপর ধীরে ধীরে ভারতজুড়ে অনেকটা স্বস্তি আসবে। শনি রাহু ও মঙ্গলের অশুভ যোগাযোগের কারণে মাঝেমধ্যেই বিমান দুর্ঘটনা এবং রেল দুর্ঘটনায় বহু লোকের প্রাণহানির সম্ভাবনা আছে। সুতরাং এই ব্যাপারে সতর্কতা প্রয়োজন। ভূমিকম্পেও বেশকিছু মানুষের প্রাণহানির সম্ভাবনা আছে। এবছর ভারতের প্রথিতযশা শিল্পী সাহিত্যিক নেতা নেত্রীদের অনেকের জীবনাবসান সারা ভারতকে শোকস্তব্ধ করে দেবে। প্রবল বৃষ্টিপাত বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়বে। তাই আগে থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। তবে পরিস্থিতি যাই হোক না কেন পশ্চিমবঙ্গে ফসলের উৎপাদন বাড়বে। রাজনৈতিক অশান্তি বাড়লেও পশ্চিমবঙ্গের উন্নতি প্রবাহ থেমে থাকবে না।
যে কোনও মানুষের ব্যক্তিগত জন্মকুন্ডলীর সার্বিক গ্রহাবস্থানের ওপর নির্ভর করে সুখদুঃখ বা হাসি কান্না। মানসিক শান্তি অশান্তি ইত্যাদি বিষয়গুলি শুধুমাত্র রাশিনির্ভর নয়, সামগ্রিকভাবে গ্রহাবস্থানভিত্তিক। ফলে, ফলের হেরফের হওয়াটা স্বাভাবিক।
এখানে রাশির ওপর ভিত্তি করে ভাগ্যফল নিয়ে যা লেখা তা অভিজ্ঞতায় দেখা একটা আভাস মাত্র। এটাই বাস্তব সত্য বলে ধরে নিয়ে চলাটা কোনও কাজের কথা নয়, চলার কারণও আছে বলে মনে হয় না।
সিংহ রাশির জাতক জাতিকাদের এবছর থেকেই একটা অস্বস্তিকর অবস্থার শুরু হবে। ব্যবসায়ীদের ব্যবসা চলবে অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে। বিশ্বাস করে আর্থিক বিষয়ে কাজ করলে ঠকে যাওয়ায় সম্ভাবনা প্রবল।সারা বছরই শারীরিক আমেজ নষ্ট হতে থাকবে। শিল্পী সাহিত্যিক এবং পেশায় নিযুক্তদের বছরটা ভাল যাবে না। আশানুরূপ আর্থিক উন্নতিতে বাধা জন্মাবে। পায়ে আঘাত লাগা বা পায়ের কোনও রোগ সম্পর্কে সাবধানতা প্রয়োজন। ঝুঁকিপূর্ণ কাজ না করাই ভাল। বন্ধুরা আর্থিক ও মানসিক ক্ষতির কারণ হতে পারে। ভ্রমণের পরিকল্পনা করেও শেষে বাধা পড়তে পারে। বাবা মায়ের শরীর ভাল যাবে না। স্বাস্থ্যের কারণে যথেষ্ট অর্থব্যয় হবে। আত্মীয় বন্ধুদের অধিকাংশের সঙ্গে মতবিরোধজনিত অশান্তির কারণে প্রীতির সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দীক্ষিতদের সাধনভজনে মনোনিবেশ হবে না।অস্থিরতা বেড়েই চলবে। বিদ্যার্থীদের বিদ্যালাভের ক্ষেত্রে সময়টা অস্থিরতার কারক। বিবাহিতদের পত্নীর স্বাস্থ্য বিব্রত করবে।
প্রেমিক প্রেমিকাদের ভুল বোঝাবুঝির কারণে অনেকেরই প্রীতির সম্পর্ক নষ্ট হবে।
সিংহ লগ্নের জাতক জাতিকাদের সারা বছরই স্বাস্থ্য কোনও না কোনও ভাবে বিব্রত করবে। খরচের পরিমাণ বাড়বে অসম্ভব। গৃহাদি ও জমি সংক্রান্ত ব্যাপারে কোন ঝামেলায় জড়াতে পারেন। চাকরিজীবিদের পদোন্নতির সম্ভাবনা কম। শিল্পী সাহিত্যিকদের বাজার মন্দার।
এখানে যে প্রতিকার করা হল তা শুধুমাত্র একবছরের জন্য পালন করতে হবে। প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার নীল অপরাজিতা ফুল দিয়ে যে কোনও শনি মন্দিরে সারা দিনে যে কোন সময় পুজো দিলে অনেকটা দুর্ভোগের হাত থেকে মুক্তি পাবেন। সঙ্গে ফল মিষ্টি যা মন চায় দিতে পারেন।
ফ্রয়েড বা টমাস সাহেব কি বলেছেন ও প্ৰেমিক -প্রেমিকা নিয়ে প্রায় 90% না ভরিয়ে স্বাস্থ্য, অর্থ, কর্ম, শিক্ষা, সন্তান, সন্তানের শিক্ষা, বাবা -মা – পত্নী, তাদের স্বাস্থ্য প্রভৃতি নিয়ে আরো লিখলে ভালো হতো l দেখবেন বেশিরভাগ লোক তাই চায় l