কর্কট রাশির ২০২১ বছরটা কেমন কাটবে ও কি করলে ভালো থাকবেন – শিবশংকর ভারতী
লেখক জ্যোতির্বিদ শিবশংকর ভারতীর কলমে কর্কট রাশির ২০২১ সালের রাশিফল - কেমন কাটবে ২০২১ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত তার আগাম ধারনা।

যে কোনও মানুষের ব্যক্তিগত জন্মকুণ্ডলীর সার্বিক গ্রহাবস্থানের ওপর নির্ভর করে সুখদুঃখ বা হাসিকান্না। মানসিক শান্তি অশান্তি ইত্যাদি বিষয়গুলি শুধুমাত্র রাশিনির্ভর নয়, সামগ্রিকভাবে গ্রহাবস্থানভিত্তিক। ফলে, ফলের হেরফের হওয়াটা স্বাভাবিক।
এখানে রাশির ওপর ভিত্তি করে ভাগ্যফল নিয়ে যা লেখা তা অভিজ্ঞতায় দেখা একটা আভাস মাত্র। এটাই বাস্তব সত্য বলে ধরে নিয়ে চলাটা কোনও কাজের কথা নয়, চলার কারণও আছে বলে মনে হয় না।
যাই হোক, ‘মানুষের মনের পুষ্টি আর বৃদ্ধির অগ্রগতিতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে পরিবেশগত শিক্ষা’, একথা বলেছেন ফ্রয়েড। একই সঙ্গে চরিত্রের সংজ্ঞায় পরিবেশের প্রভাব যে কতখানি তা পাওয়া যায় ফ্রয়েডেরই সহকর্মী ও শিষ্য আলফ্রেড অ্যাডলারের কথায়। তিনি চরিত্রের মনোজ্ঞ সংজ্ঞায় বলেছেন, ‘চরিত্র একটি মানসিক সংস্থা। কোনও ব্যক্তি যে পরিবেশের মধ্যে চলাফেরা করে সেই পরিবেশের সঙ্গে সে যে গুণ ও প্রকৃতি নিয়ে আদানপ্রদান করে তাই-ই হল তার চরিত্র।’
টমাস ভ্যান ডি ভেলডি বলেছেন, ‘কোনও মানুষের সেই গুণসমষ্টিই হল তার চরিত্র যেগুলি অন্য লোকের সঙ্গে ব্যবহারে তাদের চোখে ধরা পড়ে এবং যেগুলি অন্য লোক হতে তাকে পৃথক করে দেখায় অর্থাৎ যে গুণগুলি ব্যক্তির আচারে, আচরণে প্রতিক্রিয়ায় ও প্রকৃতিতে পরিস্ফুট হয়ে ওঠে।’
অনেকের রাশিফল মেলে, অনেকের মেলে না। কারণ, তিনটে নক্ষত্র নিয়ে হয় একটা রাশি। রাশি এক হলেও তিনটে নক্ষত্রের ফল আলাদা।
আমি যতটা সম্ভব সবদিক বজায় রেখে ২০২১ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত মোটামুটি বছরটা কেমন যাবে তার সম্ভাব্য ফলাফল লিখতে চেষ্টা করেছি। তবে যেখানে যে রাশির সতর্কতা নির্দেশ করেছি – সেখানে আমার অনুরোধ, অতি অবশ্যই যেন তা পালন করা হয়। নইলে কিন্তু অসম্ভব রকমের অশান্তি ও ক্ষতি অনিবার্য। আমি জ্যোতির্বিদ। করার ক্ষমতা কিছুই নেই – একমাত্র সতর্ক করা ছাড়া।
করোনার চোখ রাঙানি অনেকটা কাটিয়ে উঠলেও গ্রহের দাপটটা কিন্তু থেকে যাবে। ব্যবসায়ীদের কর্মক্ষেত্রের অবস্থা ভালো থাকবে না। আর্থিক অবস্থা চলবে ওঠাপড়ার মধ্যে দিয়ে। দেহ ও মন থাকবে অস্বস্তিকর।
এককথায় সারাটা বছর কাটবে প্রায়ই নানান উদ্বেগ অশান্তিতে। পায়ে আঘাত লাগা অথবা পা মচকে যাওয়া; হঠাৎ হঠাৎ অর্থক্ষতি, ভ্রমণে গিয়ে কোনও অশান্তির মধ্যে পড়ে যাওয়া, কর্মপ্রার্থীদের স্থায়ী কর্মলাভে বাধা।
আত্মীয়দের সঙ্গে প্রীতির সম্পর্ক নষ্ট, বিদ্যার্থীদের অস্থিরতা বৃদ্ধি, ধর্মভাবে অমনোযোগ বাড়বে। প্রেমপ্রীতিতে নিত্য অশান্তি লেগে থাকবে। বিবাহিতদের সাংসারিক সুখ নষ্ট হবে।
কর্কট লগ্নের স্বাস্থ্য থাকবে প্রায়ই বিব্রতকর।
কি করলে একটু ভালো থাকবেন :
এখানে যে প্রতিকারগুলি রাশি অনুযায়ী করা হল তা শুধুমাত্র এক বছরের জন্য। প্রতিকারগুলি আমার মনগড়া কোনও কথা নয়। বিভিন্ন সময়ে ভারতের নানা প্রান্তে ভ্রমণকালীন পথচলতি সাধুসঙ্গের সময় লোক-কল্যাণে সাধুদের বলা প্রতিকারগুলিই এখানে করা হল।
প্রতি শুক্রবার কোনও মহিলা ভিখারিকে যে কোনও একটা ফল আর যা মন চায় কিছু পয়সা দেবেন। চেষ্টা করবেন সারা বছরে একটা শুক্রবার যেন বাদ না যায়। কাজটা চলতে থাকলে কর্মজীবন, সংসার ও প্রতিষ্ঠা জীবনে চলার পথের বাধা অস্বস্তির হাত থেকে বহুলাংশে মুক্তি পাবেন।