কর্কট রাশির ১৪২৯ বাংলা বছরটা কেমন কাটবে
১৪২৯ সালের ১ বৈশাখ থেকে চৈত্র সংক্রান্তি পর্যন্ত কর্কট রাশির মোটামুটি বছরটা কেমন যাবে তার সম্ভাব্য ফলাফল লিখতে চেষ্টা করেছি।

এ বছরটাও কাটবে নানান অস্বস্তির মধ্যে দিয়ে। সংসার জীবনে মনের স্বস্তিটা থাকবে না। স্বাস্থ্য প্রায়ই বড্ড বিব্রত করবে। মাঝে মধ্যেই মনের আমেজ নষ্ট হবে।
পেশা বা ব্যবসায় তেমন আশাপ্রদ ফললাভ হবে না। নতুন কোনও ব্যবসার পক্ষে সময়টা শুভদায়ক নয়। আত্মীয়দের অনেকের সঙ্গে প্রীতির সম্পর্কে বাধা জন্মাবে। অদীক্ষিতদের অনেকের দীক্ষা লাভ হবে।
কাছাকাছি কোথাও বেড়াতে যাবেন। কোনও নিকট আত্মীয়ের গৃহে শুভ কর্মানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। উটকো ঝামেলায় জড়াতে পারেন।
আশানুরূপ অর্থাগমে বাধা জন্মাবে। ব্যয় বাড়বে হইহই করে। অকারণে শত্রু বাড়বে। দীর্ঘদিনের প্রেমপ্রীতিতে মানসিক অস্বস্তি বেশ বাড়বে।
কর্কট লগ্নের দেহমন কাটবে অস্বস্তির মধ্যে দিয়ে। কর্মক্ষেত্রের অবস্থা চলবে উদ্বেগের মধ্যে দিয়ে। ধর্মের প্রতি আকর্ষণ বাড়বে আগের তুলনায়।
এখানে যে প্রতিকার করা হল তা শুধুমাত্র একবছরের জন্য পালন করতে হবে। প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার সাদা বাতাসা ও সাদাফুলের মালা (টগর বাদে) দিয়ে যে কোনও শনি মন্দিরে সারা দিনে যখন হোক পুজো দিলে অনেকটা দুর্ভোগের হাত থেকে মুক্তি পাবেন।
একদিকে দুঃখ শোক গ্লানি অহংকার যেমন, তেমনই অন্যদিকে সুখশান্তি আনন্দ ত্যাগ বৈরাগ্য। কর্কট সম রাশি বলে সংসারে সুখ দুঃখ শোককে এই রাশির জাতক জাতিকারা অস্বীকার করে না,সাদরে গ্রহণ করে।
এদের মধ্যে একদিকে রয়েছে স্নেহ উদারতা,অন্যদিকে রয়েছে নির্দয়তা। মঙ্গলের রজোগুণ ও শনির তমোগুণের সংমিশ্রণে এদের ক্রোধ কখনও কখনও প্রবল হয়ে ওঠে। অহংকার ও দম্ভের প্রকাশ যোগ্যতার চাইতে বেশি।
স্ত্রীর কাছ থেকে মন মতো ব্যবহার না পেলে প্রায়ই অন্য রমণীর আশ্রয় খুঁজে নিতে চেষ্টা করে। এদের নেতৃত্ব দেবার ইচ্ছা থাকে জীবনের প্রথমাবস্থা থেকে। শনির তমোগুণের প্রভাবে জীবনে দুঃখবাদের ভারী বোঝাটাই বয়ে নিয়ে বেড়াতে হয় বেশি।
আমার জ্যোতিষশাস্ত্রের শিক্ষাগুরু শ্রীশুকদেব গোস্বামীর গ্রন্থের সাহায্য নিয়ে এই অংশটুকু লেখা হয়েছে। এর সঙ্গে সংযোজন করা হয়েছে নিজের পেশাগত জীবনের বেশ কিছু অভিজ্ঞতার কথা। লেখক চিরকৃতজ্ঞ হয়ে রইল উক্ত গ্রন্থের লেখক ও প্রকাশকের কাছে।
প্রতিকারগুলি আমার মনগড়া কোনও কথা নয়। বিভিন্ন সময়ে ভারতের নানা প্রান্তে ভ্রমণকালীন পথচলতি সাধুসঙ্গের সময় লোক-কল্যাণে সাধুদের বলা প্রতিকারগুলিই এখানে করা হল।
সব কথা মিলবে, এমনটা ভাববার কোনও কারণ নেই। এখানে রাশির ওপর ভিত্তি করে ভাগ্যফল নিয়ে যা লেখা তা অভিজ্ঞতায় দেখা একটা আভাস মাত্র। এটাই বাস্তব সত্য বলে ধরে নিয়ে চলাটা কোনও কাজের কথা নয়, চলার কারণ আছে বলেও মনে হয় না।
আপনার কাছে জিজ্ঞাসা – কর্কট লগ্নের ওপর শনির ঢাইয়া থাকায় শনি একমাত্র মাত্র অষ্টম ঘরের ওপর দিয়ে যাবার জন্য , দুরারোগ্য ব্যাধির শিকার হবে যা তাকে আজীবন বহন করতে হবে? এ কথা কি সত্য – কারন আপনি এর আগে যা বলেছেন তা অপ্রিয় হলেও চরম সত্য হিসেবে মিলে গেছ; তাই নিরুপায় হয় প্রশ্ন রাখছি, দয়াকরে মানসিক চিন্তা থেকে বাঁচাবেন|.